December 25, 2024, 5:32 pm
ডেস্ক নিউজ- মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে মাটির তৈরি জীর্ণ শীর্ণ কুড়েঘর। কোনো দরজা-জানালা নেই। ঘর দুই পাশ দিয়ে খোলা। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে সেখানেই মাকে নিয়ে থাকতেন হতভাগ্য নিমচাঁদ। নরসুন্দরের কাজ করতেন।
কিন্তু দুই বছর আগে প্যরালাইসিসে আক্রান্ত হওয়ায় জীবিকা অর্জনের সব পথই বন্ধ হয়ে যায়। ঘর থেকে বের হতে পারতেন না। বিয়ে করেননি। সংসার বলতে ৮২ বছরের মা-ই ছিল একমাত্র অবলম্বন। তাই বেশ কষ্টে কাটাতে হচ্ছিল দিন।
১৫ দিন আগে আবারও প্যারালাইটিক আক্রমণ হয় নিমচাঁদের শরীরে। তার চিকিৎসা করার সাধ্য ছিল না মায়ের। ঘরে সম্বল বলতে ১০ দিন আগে পাওয়া কিছু খাবার ও কেরোসিন। ছেলের জন্য কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ আনতে তা বিক্রি করে দেন মা কিল্লো দেবী। সেই টাকাও শেষ হয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে না খেয়েছিলেন। অসুস্থ শরীর এত ধকল সহ্য করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার না খেতে পেয়ে মায়ের সামনেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলেন নিমচাঁদ।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের কুদারিয়া ইখলাসপুর গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, না খেয়ে কেউ মারা গেলে তার জন্য গ্রামের প্রধান থেকে শুরু করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও দায়ী থাকবেন। ব্যারেলি জেলা থেকে নিমচাঁদের গ্রামের দূরত্ব ছিল মাত্র ৩০ কিলোমিটার।
সূত্র : টাইমস ইন্ডিয়া